May 28, 2016, 4:05 AM, Hits: 403
Tweet
এনজেবিডি নিউজ : সার্ভিক্যাল ক্যান্সার এমন এক ব্যাধি যাতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়তই প্রাণ হারান নারীরা। ক্যান্সার প্রতিরোধে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি থাকে না। ধূমপান বর্জন থেকে শুরু করে পুরোপুরি নিরামিষভোজী জীবনযাপন করতেও পিছ-পা হই না আমরা। কিন্তু এমন একটি কাজ আছে যা নিশ্চিতভাবেই কমিয়ে দেবে সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের ঝুঁকি। আর তা হলো নিয়মিত ব্যায়াম।
নিউ ইয়র্কের রসওয়েল পার্ক ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের গবেষকেরা জানান এই তথ্য। এর আগে জানা যায় ব্যায়াম কমায় কোলন, ব্রেস্ট, ওভারই এবং এন্ডমেট্রিকাল ক্যান্সারের ঝুঁকি। ওবেসিটি এবং ধূমপানের প্রভাব বিবেচনা করার পরেও ব্যায়ামের ভূমিকা অনেক বড়। তবে এটাও দেখা যায় যে, যারা শরীরচর্চা করেন তারা নিজেদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও সচেতন থাকেন এবং সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের জন্য টেস্ট করান। এই সচেতনতাটুকুও খুব জরুরী।
গবেষণাটি মূলত সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের রোগী ১২৮ জন শ্বেতাঙ্গ নারীদের ওপর করা হয় এবং এর পাশপাশি ৫১২ জন নারীর সাথে তাদের তুলনা করা হয় যাদের সার্ভিক্যাল ক্যান্সার ছিলো না। এই দুই দলের নারীদের মাঝে বয়স ও জাতিগত সাদৃশ্য রেখে গবেষণা করা হয়। প্রথমে তাদেরকে শরীরচর্চা বিষয়ক একটি প্রশ্নপত্র পূরণ করতে দেওয়া হয়। মাসে চারবার অথবা সপ্তাহে অন্তত একদিন যারা শরীরচর্চা করেন না, তাদেরকে “ইনঅ্যাক্টিভ” হিসেবে ধরা হয়।
গবেষণার পর দেখা যায়, ইনঅ্যাক্টিভ হলে সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের সম্ভাবনা দ্বিগুনের চাইতেও বেশি বেড়ে যায়। আগে থেকেই বায়্যাম শুরু করলে পরবর্তী জীবনে এই ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কমে যায় নারীদের। গবেষকদের মতে, যে কোন ধরণের ব্যায়ামই কাজে আসবে। অনেকেই এই ধরণের ব্যায়াম করুন, ওই ধরণের ব্যায়াম করুন এসবে বিভ্রান্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত কিছুই করেন না। 2008 Physical Activity Guidelines অনুযায়ী, সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার শরীরচর্চা অথবা সপ্তাহে ৭৫ মিনিট ভারি অ্যারোবিক ব্যায়াম অথবা এই দুইয়ের মিশেল সুস্থ জীবনযাত্রার জন্য ভালো। সপ্তাহে কমপক্ষে ৩০ মিনিট অ্যারোবিক ব্যায়ামও সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা কমাতে সক্ষম।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মধ্যবয়সী নারীদের শরীরে সার্ভিক্যাল ক্যান্সার দেখা যায়। এদের বয়স থাকে ৫০ বছরের কম। আর ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ৬৫ বছর বয়সের ওপরে হয় তাদের বয়স। সঠিক সময়ে সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য নিয়মিত চেকআপ করানো জরুরী। এছাড়াও ধূমপান বর্জন এবং HPV ভ্যাকসিন নেওয়াটা ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনতে পারে।
ঝুঁকি কমানোর আরও কিছু উপায় হলো, স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস বজায় রাখা। এর জন্য যথেষ্ট ফ্রেশ ফল ও সবজি খাওয়া জরুরী। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। প্রসেসড মাংস খান নিয়মিত। অ্যালকোহল পানের অভ্যাস থাকলে সেক্ষেত্রেও সংহত থাকুন। একাধিক ব্যক্তির সাথে শারীরিক সম্পর্ক এর ঝুঁকি বাড়ায় তাই সাবধান থাকুন।